May 10, 2024 2:32 pm

বর্ধমানের রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কের লকার থেকে গায়েব গ্রাহক পরিবারের সব সোনার গহনা

একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের লকার থেকে লোপাট হয়ে গেল গ্রাহকের প্রায় ৬০-৭০ ভরি সোনার গয়না। শহর বর্ধমানের বাদামতলার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে এমন ঘটনা ঘটায় গ্রাহক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গ্রাহকের অজান্তে কিভাবে ব্যাঙ্কের লকার থেকে সোনার গহনা গায়েব হল তা নিয়ে নানা মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশ সোনার গহনা গায়েব হবার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

ব্যাঙ্কের লকার থেকে সোনার গহনা গায়েব হওয়ার ঘটনা বিষয়ে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন গ্রাহক পবিত্র সামন্ত। তার বাড়ি বর্ধমানের বনমসজিদ পাড়ায়। অভিযোগের ভিত্তিতে কেস রুজু করে বর্ধমান থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। শেষ কবে লকার খোলা হয়েছিল তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। ব্যাঙ্কের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে চিঠি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, বনমসজিদ পাড়ার বাসিন্দা পবিত্র সামন্তর পারিবার প্রায় ৪০ বছর ধরে পরিবারের সোনা ওই ব্যাঙ্কের লকারে রাখেন। পরিবার সদস্যরা জানিয়েছেন, বছর দু’য়েক আগে শেষবার তারা লকার খুলেছিলেন। তারপর পরিবারের কেউই আর লকার খোলেন নি। পবিত্রবাবু পুলিশকে জানিয়েছেন, গত শনিবার বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ দু’জন তাঁদের বাড়িতে আসেন। তাঁরা নিজেদের ব্যাঙ্কের কর্মচারী বলে পরিচয় দেন। সেই সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। একটি চিঠি তারা পুত্রবধূকে দিয়ে যায়।

চিঠিপ্রাপ্তির কথা পুত্রবধূর কাছে লিখিয়ে নেওয়া হয়। যদিও ব্যাঙ্ক কর্মচারি পরিচয় দিয়ে আসা ওই ব্যক্তিরা চিঠিতে তারিখ উল্লেখ করতে পুত্রবধূকে বারণ করে। ওইদিন বাড়ি ফিরে চিঠি খুলে তিনি দেখেন, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ লকারের বিষয়ে আলোচনার জন্য তাকে ডেকে পাঠিয়েছেন। তৎক্ষণাৎ তিনি ব্যাঙ্কের যান। ব্যাঙ্কের ম্যানেজার তাকে জানান, লকার খোলা রয়েছে। সেখানে কোনও সোনার গয়না নেই। এনিয়ে জানতে চাওয়ায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সদুত্তর দিতে পারেনি। পবিত্রবাবুর অভিযোগ, “ব্যাঙ্কেরই কেউ বিশ্বাসভঙ্গ করে লকার থেকে সোনা গায়েব করে দিয়েছে। লকারে রাখা সোনা ব্যাঙ্কের কর্মী ছাড়া অন্য কেউ সরাতে পারেনা।”