May 20, 2024 8:09 pm

‘কিন্তু আমরা ভয় করব না ভয় করব না, দু বেলা মরার আগে মরব না, ভাই, মরব না।’ – এক্স হ্যান্ডেলে দাবি মমতার

‘কিন্তু আমরা ভয় করব না ভয় করব না, দু বেলা মরার আগে মরব না, ভাই, মরব না।’ – এক্স হ্যান্ডেলে দাবি মমতার

এক্স হ্যান্ডেলে মমতা

PB NEWS :- ‘বিজেপির এই আচরণ প্রমাণ করল, বাংলার মানুষকে তারা কতটা অসম্মান করে এবং রাজ্যের মানুষের প্রাপ্য অধিকারকেও মর্যাদা দেয় না৷’ – কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে দিল্লি পুলিশের হাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল নেতাদের আটক হওয়ার ঘটনাকে গণতন্ত্রের কালো দিন বলে সমালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মমতা লিখেছেন, ‘প্রথমে এরা খুব দায়সারা ভাবে বাংলার গরিব মানুষের প্রাপ্য টাকা আটকে রাখল৷ আবার যখন আমাদের প্রতিনিধি দল মানুষের অসুবিধা তুলে ধরতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করতে গেল, তখন তাঁদের সঙ্গে নির্মম আচরণ করা হল৷ প্রথমে রাজঘাটে এবং তার পর কৃষি ভবনে৷’ বাংলাকে বঞ্চনা করার অভিযোগ , ১০০ দিনের টাকা সহ প্রাপ্য বকেয়া মেটাতে দিল্লি অভিযানের হুঁশিয়ারি আগেই দিয়েছিলেন অভিষেক। ৫০ লক্ষ চিঠি নিয়ে দিল্লির মাটিতে গণ-আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। কিন্তু দিল্লির বুকে আন্দোলনের ভিত মজবুত হওয়ার আগেই তৃণমূলের কর্মসূচি কার্যতে ব্যর্থ করে দেয় দিল্লি পুলিশ।

‘কিন্তু আমরা ভয় করব না ভয় করব না, দু বেলা মরার আগে মরব না, ভাই, মরব না।’ – এমনই দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দিল্লি পুলিশের হেফাজত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সিপিএম সিঙ্গুর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চুলের মুঠি ধরে বের করেছিল, তার ফল কী হয়েছিল সবাই দেখেছেন৷ শাসক দলের পতন হয়েছিল৷ গণতন্ত্রে মানুষ শেষ কথা বলে৷ আজকে স্বৈরচারিতার চরম নিদর্শন করে মানুষের প্রতিনিধিদের হেনস্থা করলেন, সেই স্বৈরচারী সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী৷’

আরও খবর- ৫৬ইঞ্চির ছাতি৬ইঞ্চি-১ লক্ষ লোক নিয়ে রাজভবন অভিযান, সাথে ৫০ লক্ষ চিঠি-চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

‘কিন্তু আমরা ভয় করব না ভয় করব না, দু বেলা মরার আগে মরব না, ভাই, মরব না।’–এক্স হ্যান্ডেলে দাবি মমতার

দিল্লি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে মমতা লিখেছেন, ‘বিজেপি-র শক্ত হাত হিসেবে দিল্লি পুলিশ নির্লজ্জের মতো আমাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে এবং তাঁদের অপরাধীদের মতো টানতে টানতে পুলিশ ভ্যানে নিয়ে গিয়েছে৷ কারণ আমাদের প্রতিনিধিরা ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্যে সত্যি কথা বলার সাহস দেখিয়েছেন৷ অহঙ্কার এবং জেদ ওদের অন্ধ করে দিয়েছে৷ বাংলার মানুষের কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করতে ওরা সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে৷’