May 12, 2024 6:01 pm

ভাবনাকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে চলেছেন ইলন মাস্ক

মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের সংস্থা নিউরালিঙ্ক কোম্পানি এমন একটি ডিভাইস আবিষ্কার করেছে , যা মানুষের মননকে পড়ে ফেলবে। ফোন করা বা কম্পিউটার চালানোর কাজও করবে। ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলকভাবে মানুষের মস্তিষ্কে চিপ বসানো হয়েছে এবং প্রাথমিক পরীক্ষায় তার ফলাফল পাওয়া গিয়েছে। চিপ বসানোর পর সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন ওই ব্যক্তি।

শুধু মনে মনে ভাববেন , তাতেই বাজিমাত। সম্প্রতি ইলন মাস্ক , যিনি এক্স সংস্থার মালিক, তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘”নিউরালিঙ্কের প্রথম পণ্যটির নাম টেলিপ্যাথি।” এই ডিভাইসটিতে একটি ছোট ব্যাটারি রয়েছে, যা একটি কমপ্যাক্ট চার্জারের মাধ্যমে তার ছাড়াই চার্জ দেওয়া যাবে। নিউরালিঙ্কের চিপের মাধ্যমে মানুষ তাদের মস্তিষ্ক দিয়ে ফোন ও কম্পিউটার চালাতে পারবে। যারা স্নায়ুর রোগে ভুগছেন , তাদের জন্য এটি খুব সুবিধাদায়ক হবে। পক্ষাঘাতগ্রস্তদের নিজের পায়ে দাঁড় করানোই পরবর্তী পরিকল্পনা। নিউরালিঙ্ক শরীরের মোটর ফাংশন এবং তার সঙ্গে কথা বলার ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

প্রশ্ন হচ্ছে , মানবদেহের মস্তিষ্কে কিভাবে চিপ বসানো যাবে ? মস্তিষ্কে এই যন্ত্র ইমপ্লান্ট করা একটু কঠিন। যন্ত্রের ইলেক্ট্রোড তার গুলি এত লম্বা যে মানুষের হাতে সেগুলি মস্তিষ্কে লাগানো যায় না। তাই মস্তিষ্কে ডিভাইসটি বসানোর জন্য আলাদা সার্জিক্যাল রোবট তৈরি করা হয়েছে। মেশিনে খুব পাতলা সূঁচ এবং সেন্সর ইনস্টল করা আছে। এই রোবট মাথার খুলিতে একটি গর্ত তৈরি করবে এবং মস্তিষ্কের যে অংশ নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করে, সেখানে ইলেক্ট্রোড তার ঢুকিয়ে দেবে।

কিভাবে কাজ করবে এই চিপ ? এটি এক ধরনের ব্রেন চিপ, যা মস্তিষ্ক ও মোবাইল মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে। এই চিপে কয়েকশো ইলেক্ট্রোড তার রয়েছে , যাকে বলা হয় মাইক্রোন-স্কেল থ্রেড। এই ইলেক্ট্রোডগুলি মস্তিষ্কের নিউরন সংকেতগুলিকে প্রক্রিয়া করে। এরপর সেই তথ্য পৌঁছে যায় নিউরালিঙ্ক অ্যাপে। সেখানে সফটওয়্যারটি ডেটা ‘ডিকোড’ করে , তার ভিত্তিতে পদক্ষেপ করে।