May 11, 2024 2:40 am

নিখোঁজ থাকার পর শিশুর দেহ উদ্ধার, পারিবারিক বিবাদের জেরেই কি খুন?

গলসি বার্তা ওয়েবডেস্ক –  বস্তাবন্দি এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। রবিবার সকালে একটি পুকুর পাড়ের ঝোপ থেকে দেহটি উদ্ধার হয়। মৃতের নাম সানি বাগদি (৭)। বাড়ি বুদবুদের রণডিহাতে। সে গত দু’দিন ধরে নিখোঁজ ছিল। তাঁকে ধারল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান।

 

দেহ উদ্ধার হতেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দেহ তুলেতে পুলিশকে বাধা দেন গ্রামবাসীদের একাংশ। শিশুকে খুন করার অভিযোগে প্রতিবেশি নিলু বাগদিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার সানিকে বাড়িতে রেখে জঙ্গলে কাঠ কাটতে গিয়েছিলেন বাবা দেবজিৎ ও মা চম্পা। দু’জনেই জঙ্গল থেকে ফিরে এসে দেখানে সানি বাড়িতে নেই। খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। হদিশ না পেয়ে বুদবুদ থানাতে নিখোঁজের ডাইরি করেন দেবজিৎ। নিখোঁজের দিন থেকেই নিলুকে সন্দেহ করছিলেন দেবজিৎরা। কারণ তাদের মধ্যে পারিবারি বিবাদ দীর্ঘদিনের। সেই বিষয়ে পুলিশকেও তাঁরা জানিয়েছিলেন। পুলিশ তদন্তে নেমে নিলুকে আটক করে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই শিশুটির হদিস মেলে।
পুলিশের জেরায় খুনের কথা কবুল করে নিলু। এর পরেই শিশুটির দেহের হদিশ পাই পুলিশ।

 

এ দিন সকালে নিলুর দাবি মতো রণডিহা সেচ বাংলোর পাশে পুকুরের দক্ষীন পাড়া যায় পুলিশ। সেখানে বস্তাবন্দী মৃতদেহটি দেখতে পাই। আশপাশের জঙ্গল কেটে বস্তাটিকে চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশ গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মধ্যে পড়েন। গ্রাবাসীদের একাংশ দাবি করেন, অভিযুক্ত নিলুকে গ্রামবাসীদের হাতে তুলে দিতে হবে। গ্রামবাসীরা দীর্ঘক্ষণ পুলিশের গাড়ি আটকে রাখেন। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনি গ্রামে পৌঁছাই। গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে দেহ উদ্ধার করা হয়।

 

দেহটি প্লাস্টিকের মুড়ে বস্তায় ভরা ছিল। পুলিশের অনুমান, গলার নলি কেটে শিশুটিকে খুন করা হয়েছে। মৃতের বাবা বলেন, “নিলুর সঙ্গে মাঝে মধ্যে পারিবারিক বিষয়ে অশান্তি হয়েছে। তাই বলে ও আমার ছেলেকে খুন করে দেবে কল্পনা করতে পারি নি। আমার ছেলের খুনির কঠোর শাস্তি চাই।” এদিন পুলিশ নিলুর বাবা মুক্ত ও বা মমতাকে আটক করেছে। পুলিশের সন্দেহ পারিবারিক বিবাদের কারণেই এই খুন। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি (গলসি ১) জাকির হোসেন বলেন, “ খুবই নৃশংস ভাবে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি চাই।” বুদবুদ থানার এক পুলিশ অফিসার বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। দোষীরা যাতে কঠিন সাজা পাই তার সব রকম ব্যবস্থা করা হবে।”