November 23, 2024 11:09 pm

দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে ? অজান্তে বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি

ডাক্তার-ডায়াটিশিয়ানরা ঠিক যেটা করতে বারণ করেন, সেটাই করা: নিজের ইচ্ছায় ডায়েট করা। যার পরিণাম হতে পারে ভয়ঙ্কর। বিশেষত না জেনে , না-বুঝে ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ করছেন যাঁরা , বিপদ আরও বেশি তাঁদের। সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে সে কথাই। দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে ? অজান্তে বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি।

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করলে দেহের ওজন কমে ঠিকই। কিন্তু, এই অভ্যাস হার্টের স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করে। মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ২০ হাজারেরও বেশি প্রাপ্ত বয়স্ক লোকের উপর সমীক্ষা চালিয়ে এমনই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন মার্কিন সেন্টারের গবেষকরা। সাংহাই জিয়াও তোং ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিন-এর গবেষকদের নেতৃত্বে এই সমীক্ষাটি চালানো হয়েছে। সম্প্রতি আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সেই সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।

নির্দিষ্ট সময় মেনে, অনেকটা সময় বিরতি দিয়ে ডায়েট করেন, যাকে বলে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং। এই রীতি অনুযায়ী, সাধারণত, দুপুরে লাঞ্চের পর রাত ৮টার মধ্যে ডিনার করে ফেলা হয়। পরদিন ব্রেকফাস্টও করাও হয় না। এই রীতিতে ডায়েট করলে দেহের ওজন অবশ্যই কমে। দীর্ঘদিন ধরেই জনপ্রিয় এই ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’। কিন্তু, দেহের ওজন কমাতে গিয়ে অজান্তেই হার্টের ক্ষতি করে ফেলছেন না তো ?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং সকলের জন্য নয়। ২৫ বছরের কম বয়সি তরুণ এবং গর্ভবতী মহিলা, যাঁদের ক্যালোরির চাহিদা বেশি, তাদের দীর্ঘক্ষণ উপবাসের ডায়েট অনুসরণ করা উচিত নয়। দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, হাই ডোজের ওষুধ এবং ইনসুলিনের নেন, তাঁদেরও ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করা উচিত নয়। হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও এই রীতি অনুসরণ করা উচিত নয় বলে জানাচ্ছেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, কেবল ঘড়ি ধরে খাওয়ার সময় ঠিক করা, দেরি করে খাওয়া উচিত নয়। যাঁরা অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন, তাঁরা রাতেও খেতে পারেন।

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং নিয়ে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে দেখা যাচ্ছে, যাঁরা ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করেন না, তাঁদের তুলনায় যাঁরা সারাদিনে ৮ ঘণ্টা খাবার না খেয়ে থাকেন, তাঁদের হার্ট-সংক্রান্ত কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি ৯১ শতাংশ। আবার যাঁরা ১২-১৬ ঘণ্টা অন্তর খাবার খান, তাঁদেরও স্ট্রোক থেকে হার্টের স্বাস্থ্যের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।