PB News Desk: শেষ পর্যন্ত হুমায়ুন কবীরকে শোকজ করল তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত ভোটে নির্দল প্রার্থী দেওয়ায় এবং দল বিরোধী মন্তব্য করায় রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে শোকজ চিঠি পাঠানো হয়েছে হুমায়ুন কবীরকে। তবে কি দল থেকে বহিষ্কার? শোকজের পাল্টা নতুন দল তৈরির ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর।
পঞ্চায়েত ভোটে তাঁর নিজের অনুগামীরা টিকিট না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। প্রার্থী মনোনয়নে বিধায়ককে গুরুত্ব না দেওয়ায় প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। একাধিক আসনে হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে নির্দল প্রার্থী দেওয়া হয়। এরপরেই জেলা সভাপতি শাওনী সিংহ রায়ের অপসারণের দাবিতে সরব হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু তারপর ভোটপর্ব মিটতেই হুমায়ুন কবীরকে শোকজ করল তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব।
এই বিষয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘চক্রান্তকারীরা এই সব কাজ করছেন। এর আগেও আমাকে শো কজ করা হয়েছিল। সেদিন আমি আকাশ থেকে পড়েছিলাম, বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো। ২০১৫ সালে আমাকে ছয় বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল। চক্রান্তের শিকার হয়ে ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে আমি লড়াই করতে পারিনি। রাজনৈতিক লড়াই আমি জানি। লড়ে জিততেও জানি। আর অন্যায়কে অন্যায় বলতেও জানি।’
হুমায়ুনের দাবি, ‘সুব্রত বক্সির সই করা একটি চিঠি আমি পেয়েছি। সাতদিনের মধ্যে চিঠির উত্তর দিতে বলেছে। আগামী সোমবার বিধানসভা শেষ করার পর আমি সুব্রত বক্সির সঙ্গে যোগাযোগ করে উত্তর দিয়ে দেব। তবে চক্রান্তকারীদের কথায় তৃণমূল কংগ্রেস করার অধিকার আমার থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলে ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটের আগে আমি সারা পশ্চিমবঙ্গব্যাপী নতুন দল গঠন করব।
আমার অনেক অনুগামী রয়েছে। যাদের সমর্থনে আমি অন্যায়কে অন্যায় বলতে পারি। চক্রান্তকারীরা চেষ্টার করছে হুমায়ুনকে সরিয়ে আরও বেশি করে লুটপাট করার। কিন্তু সেটা হবে না। যখনই মানুষের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায় তখনই তারা একটা শেষ চেষ্টা করে লড়াই করার, আমিও করব।’