বোরো চাষিদের ধান কেটে নেওয়ার পরামর্শ কৃষি দফতর

রাজ্যের ঝড়ের হানা দেওয়ার আগে চাষিদের কি করা উচিৎ তা স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে দফতর। এপ্রিলে শেষ বা মে-র প্রথম সপ্তাহে রাজ্যের উপকূলীয় অঞ্চলে ঝড়ের বিশেষ প্রভাব পরতে পারে। তাই চাষিদের সাহায়ের জন্যই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছে দফতরের আধিকারিকরা ।

ঘূর্নিঝড় আমফূন সম্পর্কিত সর্তকীরণে চাষিদের বার্তা দেওয়া হয়েছে, ধান দ্রুত কেটে ফেলতে। ধান কেটে কৃষকরা অনেক সময়েই তা মাঠে ফেলে রাখেন এক্ষেত্রে তা করতে বারন করা হয়েছে। সহ কৃষি অধিকর্তা (গলসি-২) সরোজ কুমার ঘোষ বলেন, “এপ্রিলে শেষ বা মে মাসের প্রথম দিকে আমফূন পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে সাইক্লোন আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বোর ধান রক্ষার জন্য কৃষকদের দ্রুত ধান কেটে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”

গলসি এই দুই ব্লকে বোর ধানের দানার প্রায় ৯০ শতাংশ ইতিমধ্যেই পেকে গিয়েছে। এই দুই ব্লকে ধান কাটার কাজে প্রতিবছর ঝারখন্ড ও বিহার থেকে প্রচুর শ্রমিক আসে। কিন্তু লকডাউনের জেরে রাজ্যের সীমা বন্ধ থাকার ও যানবাহন না চলার করাণে ধান কাটার জন্য ভিনরাজ্যের শ্রমিক আনতে পারেনি এই দুই ব্লকের কৃষিকেরা। ফলে চাষিরা এখও মাঠে নেমে ধান কাটার কাজ শুরু করতেই পারেনি।

এছাড়া প্রায় দিন আকাশ বৃষ্টি হওয়াতে জমি ভিজে থাকার কারণে মেশিনও ধান কাটাতে পারছে না। এই অবস্থায় ঝড় হলে যে চাষিরা ক্ষতির মুখে পড়বে তা আঁচ করেই এই সর্তকীরণ বলে দাবি কৃষি দফতরের। কিন্তু হাতে সময় কম। এই সর্তকীরণে চাষিরা কতটা কাজে লাগবে সেটা এখন দেখার।

এ নিয়ে শঙ্কায় খোদ কৃষি দফতরও। দফতরের এক কর্তা বলেন, এপ্রিল তো শেষ হয়ে গেলে। মে-এর প্রথম সপ্তাহর ক’দিন মাত্র হাতে। তাছাড়া এখনও মাঠে মেশিন নামছে না। তাই ঝড়ের আগে খুব বেশি ধান কাটা যাবে বলে আশা করা যায় না। একই দাবি চাষিদের। গলসির ইড়কোনা চাষি মানস হাজরা ও রামগোপালপুরের সুভাষ বাগদিরা বলেন, “এমনতেই শ্রমিকের অভাবে ধান কাটা যাচ্ছে না।

জমি ভিজে তাই মেশিনও ধান কাটা যাচ্ছে না। সেখানে এই ক’দিন ধান কেটে নেওয়া কোন চাষির পক্ষেই সম্ভব নয়। এই সর্তকীকরণ কোন কাজেই লাগবে না।”