PB NEWS :- ভারতের জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভ এবং ইসরোর লোগো ছিল – সেগুলির খুব একটা স্পষ্ট ছাপ চাঁদের মাটিতে পড়েনি। চন্দ্রায়ন মিশন যখন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ল্যান্ডিং করেছিল তখনই চন্দ্রপৃষ্ঠে এই দুটির ছাপ রাখার কথা ছিল। চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলটি ভবিষ্যতের অনেক মিশনের সাক্ষী হতে চলেছে। কারণ এখানে জল থাকবার সম্ভাবনা। চাঁদের আলো দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের মাটি সম্পর্কে নতুন তথ্য চাঁদে জীবনের উপস্থিতি অনুমানকারী মিশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হতে পারে।
বিক্রম ও প্রজ্ঞানের ঘুম থেকে জেগে ওঠার বিষয়ে ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেন , ‘‘এখনও যোগাযোগ হয়নি। তবে আমরা বলতে পারি না যে এখন প্রজ্ঞান এবং বিক্রম কাজ করবে না। আমরা একটি পূর্ণ চন্দ্র দিনের (পৃথিবীর ১৪ দিন) জন্য অপেক্ষা করব এবং যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে যাব।এই সময়কালে, সূর্যের আলো ক্রমাগত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পড়বে এবং তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। এটি ল্যান্ডার এবং প্রজ্ঞান যন্ত্রগুলিকে উত্তপ্ত করবে।
ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেছেন, ‘‘অশোক স্তম্ভ এবং লোগোর অস্পষ্ট ছাপ একটি নতুন খোঁজ দিয়েছে। আমরা ইতিমধ্যেই জানি যে এটি (মাটি) ভিন্ন, কিন্তু আমাদের খুঁজে বের করতে হবে কিসের উপস্থিতি এটিকে আলাদা করছে। চাঁদের মাটি ধুলো বালি দিয়ে তৈরি নয় , এটি গলিত উপাদানের তৈরি। এর মানে যে কিছু মাটি বেঁধে রয়েছে, আমাদের রিসার্চ করতে হবে কোন জিনিস এই মাটিকে বেঁধে রেখেছে৷’’
চন্দ্রপৃষ্ঠে অশোক স্তম্ভ এবং ইসরোর লোগোর স্পষ্ট ছাপ নেই – কেন এমন হল ?
মোহালিতে মাইলফলক , অস্ট্রেলিয়াকে হারাতেই ওডিআই র্যা ঙ্কিংয়ে শীর্ষে মেন ইন ব্লু
চাঁদে পাওয়া গেছে আলগা মাটির চিহ্ন ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরির পরিচালক অনিল ভরদ্বাজ নিজের সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘‘আমরা খুব স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি যে রোভার চলাচলের কারণে চাঁদের পৃষ্ঠে ফুটো তৈরি হচ্ছে। ল্যান্ডিং সাইট এবং রোভার চলাচলের স্থানের চারপাশে তোলা ফটো গুলি দেখায় , রোভারের চলাচলের কারণে সৃষ্ট ফুটোটি প্রায় এক সেন্টিমিটার গভীর। ল্যান্ডারের পা চন্দ্রপৃষ্ঠে ডুবে যাচ্ছে , যা আলগা মাটি নির্দেশ করে। আমরা যত গভীরে যাব , মাটি তত ঘন হবে।’’
ইউএস অ্যাপোলো প্রোগ্রাম দ্বারা সংগ্রহ করা চন্দ্রের মাটির নমুনার সাথে মিল করার জন্য এলএসএস তৈরি করা হয়েছিল। এই মাটির নমুনা চাঁদের নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে নেওয়া হয়েছিল। যেখানে ইসরোর চন্দ্রযান-৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে। চাঁদের বিভিন্ন অংশের মাটি আলাদা। তাই একেবারেই হতাশ নন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।