দিল্লির বিমানবন্দরে এসে পৌঁছল ‘অপারেশন অজয়ে’র প্রথম উড়ান – এলেন ২১২ জন নাগরিক। বৃহস্পতিবার রাতে তেল আবিব থেকে ভারতীয় নাগরিকদের নিয়ে চার্চার বিমানটি নয়া দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিমানের ভিতর থাকা যাত্রীদের একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
সেই সঙ্গে ক্যপশনে লেখেন, “চলছে অপারেশন অজয়। নয়াদিল্লির পথে রওনা দিয়েছে ফ্লাইটে থাকা ২১২ জন নাগরিক।” ইজরায়েলের ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকেও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ পোস্ট করে, “২১২ জন ভারতীয় নাগরিককে নিয়ে অপারেশন অজয়ের প্রথম উড়ানটি, তেল আবিব থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছে। ইজরায়েলের ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা কামনা করা হচ্ছে।”
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা বেজে ১৪ মিনিটে তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর থেকে নয়া দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছিল উড়ানটি। আগত ভারতীয়দের স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগের রাষ্ট্রমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। প্রথম দফায় যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইজরায়েল থেকে ২১২ জন ভারতীয় নাগরিক ফিরলেন দেশে। এর মধ্যে এক শিশু ও ২১১ জন প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক আছেন। এই ২১২ জনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা আছেন ১৮ জন। প্রথম বিমানে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে , সেই দেশে আটকে পড়া ৭ অক্টোবরের এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের যাত্রীদের।
ওই দিন ভোরে হামাস হামলা করেছিল ইজরায়েলে। যুদ্ধ শুরুর প্রেক্ষিতে অবিলম্বে উড়ানটি বাতিল করেছিল এয়ার ইন্ডিয়া। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত ইজরায়েলে বাণিজ্যিক উড়ান পরিষেবা স্থগিত রেখেছে এয়ার ইন্ডিয়া। ইজরায়েলের ভারতীয়দের দূতাবাসের পক্ষ থেকে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক ভারতীয় নাগরিকদের নাম নিবন্ধন করা হয়। যারা আগে নাম লিখিয়েছেন, তাঁদের আগে ফেরার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার প্রথম বিমানটি ধরার জন্য বিমানবন্দরে ছাত্র-ছাত্রী সহ ভারতীয় নাগরিকদের লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছিল। বিমানবন্দর গুলিতে রকেট হানার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে শেষ পর্যন্ত নিরাপদেই দেশে পৌঁছেছেন ভারতীয় নাগরিকরা।