ব্রিটিশ শাসকের ঘুম কেড়ে নেওয়া বীর বিপ্লবী রাসবিহারী বসু জন্মে ছিলেন এই বর্ধমানের এক গ্রামে।

ব্রিটিশ শাসকের ঘুম কেড়ে নেওয়া বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর জন্ম বর্ধমানের সুবলদহ গ্রামে। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে অগ্রনী বিপ্লবীদের মধ্যে অন্যতম তিনি। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস গবেষকদের কাছে তিনি অতি পরিচিত নাম।

মহান বিপ্লবী রাসবিহারী বসু ১৮৮০ সালের ২৫ মে বর্ধমানের রায়নার সুবলদহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির সংগঠক। ভারতের বাইরে তাঁরই উদ্যোগে জাপানে আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠিত হয়। দিল্লিতে গভর্নর জেনারেল ও ভাইসরয় লর্ড হাডিঞ্জের ওপর বোমা মারার ঘটনায় নেতৃত্ব দেন। ব্রিটিশ পুলিশ বাহিনী তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালালে তিনি দেশান্তরী হন। তিনি ডুপ্লে কলেজের ছাত্র ছিলেন। ছাত্রাবস্থা থেকেই তিনি বিপ্লবী আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে পড়েন।

১৯০৮ সালে তিনি আলিপুর বোমা বিষ্ফোরন মামলায় অভিযুক্ত হন। কারাগার থেকে মুক্তিলাভের পর তিনি দেরাদুন যান। সেখানে তিনি বাংলা, উত্তরপ্রদেশ ও পাঞ্জাবের বিপ্লবীদের সংস্পর্শে আসেন। তারপরই দেশজুড়ে সেনা ও গণ অভ্যুত্থান পরিকল্পনা নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপরই ১৯২৩ সালে জাপানে পালাতে বাধ্য হন তিনি। বিপ্লবী জীবনের বেশিরভাগ সময় তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে অস্ত্র, অর্থ ও কর্মী যোগাড়ের কাজে ব্যস্ত থেকেছেন।

তাঁরই প্রচেষ্টায় জাপান ভারতীয় বিপ্লবীদের পাশে দাঁড়ায় ও ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকে সক্রিয় সমর্থন জানায়।১৯৪২ সালের ২৮-২৯ মার্চ টোকিওতে তাঁরই উদ্যোগে ইন্ডিয়ান ইন্ডপেন্ডেন্স লিগ গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর তাঁর আহ্বানে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু ইন্ডিয়ান ন্যাশানাল আর্মি গঠন করেন।  রাসবিহারী বসুকে জাপান সরকার সেকেন্ড অর্ডার অফ দি মেরিট অফ দি রাইজিং সান খেতাবে ভূষিত করে।১৯৪৫ সালের ২১ জানুয়ারি জাপানে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।