পারিজাত মোল্লা ,
তীব্র গরমে গাছের ছায়া অমৃতসমান,আবার কল-কারখানার সর্বপরি নাগরিক সভ্যতার বায়ু দূষণে বিশুদ্ধ অক্সিজেনের ঠিকানা গাছপালা। তাই জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গাছের ভূমিকা অতি গুরত্বপূর্ণ বলা যায় । ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে
মঙ্গলবার সকালে শিয়ালদহ সংলগ্ন টাকি গার্লস স্কুলের সামনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি নিতে দেখা গেল অভিভাবকদের কে।এতে সামিল হলো টাকি গার্লস প্রাথমিক স্কুল কর্তৃপক্ষও।এই কর্মসূচি সফল করতে ক্ষুদে পড়ুয়াদের একাংশ কে নিয়ে এলেন প্রাথমিক গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুনীতা দাশগুপ্ত।
সাথে ছিলেন স্কুলের কয়েকজন শিক্ষিকা সহ স্কুল কর্মীরা।মূলত টাকি গার্লস প্রাথমিক স্কুলের পিপি বিভাগের অভিভাবক গৌতম কর্মকার, সঞ্জিত রায়, সুমিত নাগ, সঞ্জয় মন্ডল, সুব্রত দাশগুপ্ত, বাপি মন্ডল,,গৌতম চক্রবর্তীদের উদ্যোগে এবং কৃষনা বিশ্বাস নির্মলকান্তি দাশগুপ্তদের মত অন্য শ্রেণীর অভিভাবিকাদের পরিচালনায় কৃষ্ণচুড়া,নিম গাছ লাগানো হয়।ক্ষুদে পড়ুয়াদের পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য হাতে ছিল বেশ কয়েকটি প্লাকার।শুধু গাছ লাগিয়ে দায়িত্ব শেষ নয়, চারাগাছের চারিপাশ বাশের ঘেরা বেঁধে দেন উদ্যোগী অভিভাবকরা।এদিন গাছ লাগানোর সময় উঠে আসে স্কুলের আশেপাশে ডেঙ্গুর লার্ভা তৈরি হচ্ছে বলে তথ্যটি।কলকাতা পুরসভার সংশ্লিষ্ট বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করাতে খুব তাড়াতাড়ি লিখিত আবেদনপত্র দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
টাকি গার্লস প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুনীতা দাশগুপ্ত জানান -” আমরা সর্বদা সারাবছরই নির্মল বিদ্যালয় বজায় রাখতে তৎপর।এদিন অভিভাবকদের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণে সাধুবাদ জানাই “। জানা গেছে, এই বিদ্যালয়ে প্রার্থনার সময় প্রতিদিনই পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা গড়া হয়।সেইসাথে ক্ষুদে পড়ুয়াদের অপেক্ষাকৃত সিনিয়র দিদিরা টিফিন টাইমে হাত ধোওয়া নিয়ে সচেতনতা করতে দেখা যায়। শিয়ালদহের টাকি গার্লস প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাড়ে পাঁচশোর মত ক্ষুদে পড়ুয়া রয়েছে। এই বিদ্যালয়ে একাধারে যেমন সৃজনশীলতার উপর জোর দেওয়া হয়েছে, ঠিক তেমনি স্কুলের বিভিন্ন দেওয়ালে জনসচেতনতা মূলক ছবিসহ দেওয়াল অঙ্কন রয়েছে। যেখানে জলের অপচয়, নির্মল পরিবেশ, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সহ বিভিন্ন মনিষীদের বাণী রয়েছে।