November 24, 2024 12:56 am

যুদ্ধ নয় , ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সমস্ত দ্বন্দ্বের সমাধান হোক আলচোনার টেবিলে , ইচ্ছাপ্রকাশ পাক প্রধানমন্ত্রীর

PB News Desk: সীমান্ত বিরোধ সহ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সমস্ত দ্বন্দ্বের সমাধানে, ফের একবার ভারতের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (Shahabaz Sarif)। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) , ইসলামাবাদে এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় , ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের প্রসঙ্গ তোলেন শেহবাজ শরিফ (Shahabaz Sarif) । ভারতের নাম না করে তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশি দেশ’ যদি চায়, তাহলে পাকিস্তানও ‘গুরুতর বিষয়ে’ কথা বলতে এবং আলোচনা করতে ইচ্ছুক।

শরিফের (Shahabaz Sarif) মতে, এই সমস্যার সমাধানে যুদ্ধ কোনও বিকল্প হতে পারে না। শেহবাজ শরিফ বলেন, “কারও বিরুদ্ধে আমাদের মনে কোনও বৈরিভাব নেই। নিজেদের স্বার্থ আমাদের নিজেদেরই দেখতে হবে এবং আমাদের দেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এমনকি আমরা আমাদের প্রতিবেশিদের সঙ্গেও কথা বলতে প্রস্তুত। অবশ্য , যদি তাদের আলোচনার বিষয়ে সদিচ্ছা থাকে।” তিনি আরও জানান, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যে সমস্ত সমস্যা রয়েছে, তার সমাধানের জন্য যুদ্ধ কোনও বিকল্প নয়। পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তান একটি পারমাণবিক ক্ষমতাধর দেশ। তবে এই ক্ষমতা আগ্রাসনের জন্য নয়, দেশের প্রতিরক্ষাই এর একমাত্র উদ্দেশ্য। ”

তিনি আরও জানিয়েছেন, গত ৭৫ বছরে ভারতের সঙ্গে তিনটি যুদ্ধ করেছে পাকিস্তান। কিন্তু তার ফলে, দুই দেশেই দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং সম্পদের অভাব আরও বেড়েছে। তিনি বলেন, “ঈশ্বর না করুন, যদি পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হয়, তাহলে কী ঘটছে তা বলার জন্যও কেউ বাঁচবে না। কাজেই যুদ্ধ কোনও বিকল্প নয়। কিন্তু, আমাদের প্রতিবেশিদেরও বুঝতে হবে, শান্তিপূর্ণ এবং অর্থপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে গুরুতর সমস্যাগুলি দূর না করা হলে, আমাদের সম্পর্ক কোনওদিন স্বাভাবিক হবে না।”

প্রসঙ্গত, যুদ্ধের পথ ছেড়ে আলোচনার টেবিলে সীমান্ত-সহ ভারত-পাকিস্তানের যাবতীয় সমস্যাগুলির সমাধানের কথা এর আগেও পাক প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনা গিয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে, আল অ্যারাবিয়া টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শেহবাজ শরিফ বলেছিলেন, “আমরা শান্তিতে পাশাপাশি বসবাস করব এবং উন্নতি করব, নাকি, একে অপরের সঙ্গে ঝগড়া করব এবং সময় ও সম্পদের অপচয় করব, তা আমাদেরকেই ঠিক করতে হবে। ভারতের সঙ্গে আমাদের তিনটি যুদ্ধ হয়েছে এবং তা সাধারণ মানুষের জন্য আরও দুঃখ, দারিদ্র্য এবং বেকারত্ব ডেকে এনেছে। আমাদের যথেষ্ট শিক্ষা হয়েছে। আমরা শান্তিতে থাকতে চাই। আমাদের আসল সমস্যাগুলি সমাধান করতে চাই।”