November 24, 2024 2:58 am

অনলাইনে পঠনপাঠন শুরু করতে চলেছে মেমারির জামিয়া ইসলামিয়া মদীনাতুল উলূম

গলসি বার্তা ওয়েব ডেস্ক –  সেই মার্চ থেকেই বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কবে তা চালু হবে এখনও পরিস্কার নয়। এই পরিস্থিতিতে পঠনপাঠন চালু রাখতে সরকারি, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মতোই অনলাইনে ক্লাসের বন্দোবস্ত করতে চলছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি জামিয়া ইসলামিয়া মদীনাতুল উলূম।

 

কবে থেকে এই ব্যবস্থা চালু হচ্ছে তা এখনও দিনক্ষণস্থির না হলেও প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, সেপ্টেম্বরের শুরুতে চালু হয়ে যাবে অনলাইন পঠনপাঠন। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কারী শামসুদ্দীন আহমাদ বলেন, “গত কয়েক মাস প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ থাকায় পঠনপাঠনও সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। তাই আমরা অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল এবং ম্যানেজমেন্টের সদস্যদের বিশেষ সভায় অনলাইন ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই মতো পক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।”

ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। ছাত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নাম নথীভূক্তর কাজও শুরু হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে মোবাইল অ্যাপ। মাদ্রাসা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রতিষ্ঠানে প্রায় এগারোশো (১১০০) পড়ুয়া রয়েছে।

এ রাজ্যের তো বটেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পড়ুয়ারা এখানে আবাসিক হিসাবে পড়াশোনা করে। আরবী ভাষা, কুরআন, হাদীস সহ খারিজী মাদ্রাসার সমস্ত সিলেবাস এখানে পড়ানো হয়। পাশাপাশি আবশ্যিক ভাবে পড়ানো হয়ে থাকে (পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি) মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সম্পূর্ণ সিলেবাস। এছাড়া উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক স্তরের ছাত্রদের ইংরাজি ও কম্পিউটারের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্তিতে পড়ুয়া নিজে নিজে বাড়িতে ফিরে গিয়েছে। তাই প্রযুক্তির সাহায্য নিতে চলেছে মাদ্রাস কর্তৃপক্ষ। শামসুদ্দীন সাহেব বলেন, “আমাদের লক্ষ্য ছাত্র সমাজ যেন পড়াশোনা থেকে বিচ্ছিন্ন না হয়ে যায়। মোবাইলে বিশেষ ‘অ্যাপ’ এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে। বাড়িতেই মোবাইলে ওই অ্যাপের মাধ্যমে ক্লাস নেবেন শিক্ষকেরা। পড়ুয়ারাও বাড়িতে বসেই মোবাইলের মাধ্যমে তালিম নেবে।”
মুসলিম সম্প্রদায়ের ছেলেরাই এই মাদ্রাসাতে পড়াশোনা করে। তারা আবার বেশিরভাগই দরিদ্র পরিবারের হয়ে থাকে। তাই আধুনিক মোবাইল পরিষেবা কী সকল পড়ুয়া বা অভিভাবকদের কাছে থাকবে! তা ভাবাচ্ছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে। তবে তাদের দাবি, যত জনের কাছে এই প্রযুক্তিতে থাকবে, ততজন পড়ুয়াকে নিয়ে পঠনপাঠন শুরু করা হবে। তবে অনলাইনে পঠনপাঠন শুরু হলেও এবারে আর কোন ছাত্র ভর্তি নেবে না মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।