বিশ্বজুড়ে যেসব সংস্হা সেবার জগতে বিশেষ স্বীকৃতি লাভ করেছে তাদের মধ্যে অন্যতম প্রাচীন সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান হলো ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব রোটারি ক্লাবস্। বর্তমানে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল নামে পরিচিত হলেও সাধারণ মানুষ একে রোটারি ক্লাব নামেই চেনে।
মার্কিন অ্যাটর্নি পল পি. হ্যারিস ১৯০৫ সালে এই সংস্হাটি প্রতিষ্ঠা করেন। শুরু থেকেই সংস্হাটি সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষদের সম্মাননা প্রদান করে আসছে। এবার সমাজে বিশেষ অবদান রাখার জন্য রোটারি ক্লাব অফ কসবা বেছে নিল বয়সে তরুণ কিন্তু সংবাদ জগতে সিনিয়র রিপোর্টার পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের মোল্লা জসিমউদ্দিনকে।
২৫ শে নভেম্বর কলকাতার প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সংস্হার পক্ষ থেকে জসিমউদ্দিনের হাতে তুলে দেওয়া হয় ইন্দো-বাংলাদেশ অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ডস। তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন সংস্হার কসবা শাখার বর্তমান সভাপতি রোটারিয়ান আশিস বসাক, ‘ছোট বউ’ দেবিকা মুখার্জ্জী, বিশিষ্ট মডেল মিস পামেলা সহ অন্যান্যরা।
প্রসঙ্গত মঙ্গলকোট থেকে সাংবাদিকতা শুরু করে জসিমউদ্দিন বর্তমানে কলকাতার একটি দৈনিক পত্রিকার আইন বিষয়ক সংবাদদাতা এবং কুমুদ সাহিত্য মেলার সম্পাদক। কয়েকদিন আগে অন্য একটি সংস্হার পক্ষ থেকেও একই কারণে জসিমকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
সংস্হার পক্ষ থেকে রোটারিয়ান আশিস বসাক বললেন – জসিমউদ্দিনকে সম্মাননা প্রদান করার সুযোগ পেয়ে আমরা গর্বিত।সমাজে বিশেষ অবদান রাখার জন্য আমরা প্রতি বছর এধরনের সম্মাননা প্রদান করে থাকি। যেভাবে সে নিয়মিত আইন বিষয়ক সংবাদ সামনে আনে সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়। একইসঙ্গে মঙ্গলকোটের কোগ্রামে কবির জন্মভিটেতে আয়োজিত কুমুদ সাহিত্য মেলায় সমাজের উঁচু থেকে তথাকথিত নীচু সমস্ত স্তরের মানুষকে যেভাবে সম্মাননা প্রদান করা হয় সেটা এক বিরল ঘটনা।
অন্যদিকে সম্মাননা পেয়ে কার্যত আপ্লুত জসিমউদ্দিন বললেন- কোনোদিন ভাবিনি রোটারি ক্লাবের মত একটি আন্তর্জাতিক সংস্হা আমাকে সম্মাননা প্রদান করবে। এটা শুধু আমার নয় সমস্ত সাংবাদিক বন্ধুদের কাছে বড় পাওনা। আমার চলার পথে এই উপহার প্রেরণার সৃষ্টি করবে।
আমি চেষ্টা করব এই সম্মাননার মর্যাদা রাখতে। তিনি আরও বললেন – আমার চলার পথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের প্রত্যেকের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।