নিজস্ব সংবাদদাতা, বর্ধমান, ২৪ আগষ্ট – বর্ধমান শহরের ঘোড়দৌড় চটি এলাকায় জিটি রোডের ধারে প্রায় কোটি টাকার একটি জায়গার দখলীস্বত্ত্ব কার তা নিয়ে রীতিমত উত্তেজনা ছড়াতে শুরু করল। ওই জমির ওপর রয়েছে একটি দোকান ও গোডাউনও। গত ২০ আগষ্ট রাতে কে বা কারা বুলডোজার দিয়ে দোকান ও গোডাউনের একাংশ ভেঙে দেওয়ায় জটিলতা আরও বেড়েছে। ওই জমির মালিক হিসাবে দাবীদার মহম্মদ তরিকুল ইসলামের মামা তথা তরিকুলের পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি আদর হোসেন মণ্ডল জানিয়েছেন, সম্প্রতি তাঁরা ওই জমিটি অনাবিল গুপ্তের কাছ থেকে কেনেন। কিন্তু তারপর থেকেই বাবু মিস্ত্রি এবং তার লোকজন তাদেরকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। এমনকি ২০ আগষ্ট রাতে বাবু মিস্ত্রি বুলডোজার দিয়ে দোকানের একাংশ ভেঙে দেয়। তিনি জানিয়েছেন,অনাবিল সেনগুপ্তের কাছ থেকে তিনিই ওই জমিটি কেনেন।
তার সমস্ত কাগজপত্র, দলিল তাঁর রয়েছে। অনাবিল গুপ্ত জানিয়েছেন, তিনি বাবু মিস্ত্রিকে ৩ বছরের মেয়াদে ওই জায়গা ভাড়া দিয়েছিলেন। পরে বাবু মিস্ত্রি তা কেনার কথা বলেন। সেই মর্মে তাঁদের মধ্যে একটি চুক্তিও হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাবু মিস্ত্রি কিনতে পারেননি। তাই তিনি ওই জমিটি মহম্মদ তারিকুল মণ্ডলকে বিক্রি করে দিয়েছেন।অনাবিল গুপ্ত জানিয়েছেন, তাঁর সই জাল করে বাবু মিস্ত্রি নকল কাগজ করেছে। এব্যাপারে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের করেছেন। অন্যদিকে, বাবু মিস্ত্রি জানিয়েছেন, তিনি ২০১৮ সালে অনাবিল গুপ্তের কাছ থেকে ওই জমি কিনেছেন। এখন আবার তিনি শুনছেন ওই একই জমিকে অন্যজনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন অনাবিল গুপ্ত। বাবু মিস্ত্রির অভিযোগ, অনাবিল গুপ্ত একই জমিকে বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করেছেন বলে তিনি শুনেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর কাছে বৈধ সমস্ত কাগজপত্র রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ২০ আগষ্ট রাতে অনাবিল গুপ্তই বুলডোজার দিয়ে দোকানঘর ভেঙে মালপত্র সহ নগদ প্রায় ৪০ হাজার টাকা লুঠ করেছে। এব্যাপারে পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগও করেছেন। এদিকে, দুপক্ষই নিজেদের স্বপক্ষে দাবী জোড়ালো করতে থাকায় প্রায় কোটি টাকা মূল্যের ওই জমিকে ঘিরে ক্রমশই উত্তেজনা বাড়ছে।