November 24, 2024 1:19 am

গ্লোবাল বায়ো ফুয়েল অ্যালায়েন্স – জি ২০ সম্মেলনে ঘোষণা ভারতের

গ্লোবাল বায়ো ফুয়েল অ্যালায়েন্স - জি ২০ সম্মেলনে ঘোষণা ভারতের

গ্লোবাল বায়ো ফুয়েল অ্যালায়েন্স – জি ২০ সম্মেলনে ঘোষণা ভারতের

PB News Desk: গ্লোবাল বায়ো ফুয়েল অ্যালায়েন্স ঘোষণা – জি ২০ সম্মেলনে ঘোষণা ভারতের। সম্মেলনে আসা দেশগুলোকে এই উদ্যোগে সামিল হতে অনুরোধ ভারতের। বর্তমানে কিছু ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ইথানল পেট্রোলের সঙ্গে মেশানো হলেও পরিবেশ দূষণ কমানোর জন্য তা যথেষ্ট নয়। জি ২০ সম্মেলনে এই বায়ো ফুয়েল অ্যালায়েন্স ঘোষণা হওয়ার পরই চিনি বা আখের সঙ্গে যুক্ত যে সমস্ত কোম্পানি তাদের শেয়ারে বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে।

এইড প্যারি : এই কোম্পানিটি দক্ষিণ ভারতের একটি চিনি প্রস্তুতকারী সংস্থা। ভারতীয় জৈব গ্যাস অ্যাসোসিয়েশনের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী জি২০-র দেশগুলোতে জৈব গ্যাস সংক্রান্ত ক্ষেত্রে আগামী ৩ বছরে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের শিল্প সম্ভাবনা রয়েছে। এইড প্যারি নামক একটা কোম্পানির শেয়ারে একদিনেই ৩.৩ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। এই কোম্পানি ২৮৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করেছে। যাতে তারা তাদের দৈনিক ইথানল তৈরি ক্ষমতা ৫৮২ কিলো লিটারে নিয়ে যেতে পারে। এই কোম্পানির মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন ৯ হাজার ৪৭৮ কোটি টাকা।

গ্লোবাল বায়ো ফুয়েল অ্যালায়েন্স - জি ২০ সম্মেলনে ঘোষণা ভারতের

ডালমিয়া ভারত সুগার অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ : ডালমিয়া কোম্পানির শেয়ারের দাম এই অ্যালায়েন্স ঘোষণার পরই প্রায় ৬ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। এই কোম্পানির মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন ৩ হাজার ৫৫২ কোটি টাকা। এই কোম্পানি তাদের দৈনিক ইথানল তৈরির ক্ষমতা ২৫০ কিলো লিটার বাড়ানোর জন্য ৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে। আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে তাদের সেই কারখানা খোলার সম্ভাবনা রয়েছে।

শ্রী রেনুকা সুগার : জি২০ সম্মেলনে বায়ো ফুয়েল অ্যালায়েন্স ঘোষণা হওয়ার পর রেনুকা সুগারের শেয়ারের দাম এক ধাক্কায় ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই কোম্পানির মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন ১১ হাজার ৬৯৬ কোটি টাকা। সদ্যই এই কোম্পানি তাদের ইথানল প্রস্তুতের ক্ষমতা ৭২০ কিলোলিটার থেকে বাড়িয়ে ১২৫০ কিলোলিটার করেছে।

ভারত সরকার চাইছে এই ইথানলের পরিমাণ ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করার জন্য। প্রসঙ্গত , এই বায়ো ফুয়েল আসলে পেট্রোলের (Petrol) সঙ্গে ইথানল মিশিয়ে তৈরি করা হয়। জৈব জ্বালানি হল এক প্রকার পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি যা জীবকূল থেকে পাওয়া যায়। আখ থেকে চিনি তৈরি করার সময় উপজাত দ্রব্য হিসাবে ইথানল তৈরি হয়। যদিও ভারতে পেট্রোলে ইথানল ব্লেন্ডিং শুরু হয় ২০০১ সালে।

দেশের বাইরে থেকে ৮৫ শতাংশ অপরিশোধিত তেল আমদানি করতে হয় ভারতকে। অতীতে এর পিছনে অনেক বৈদেশিক মুদ্রাও খরচ হয় কেন্দ্রের। তৎকালীন সময়ে সেই প্রকল্প সেই সময় অতটা গতি না পেলেও বর্তমানে এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও রাজপথ মন্ত্রক অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।