কয়েক সপ্তাহ আগে এক ভোরে হঠাৎ করে ইজরায়েলের উপর হামলা চালিয়েছিল হামাস বাহিনী। বহু মানুষ তখন ঘুমের মধ্যে ছিল। হঠাৎ করেই রকেট-বর্ষণ শুরু হয়েছিল। ভারতেও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সে ব্যাপারে তৎপর নয়া দিল্লি। তাই বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করতে চলেছে ভারত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানান, ড্রোনে নজরদারির বিষয়ে আগামী মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হতে পারে এবং আগামী বছরের মে মাসের মধ্যে সীমান্ত এলাকায় ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি সিস্টেম চালু হয়ে যেতে পারে। প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীর ও পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকা নিয়ে বরাবরই উদ্বিগ্ন নয়া দিল্লি। এর মধ্যে ইদানিংকালে আবার নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে চিন। ফলে পাকিস্তান সীমান্তের পাশাপাশি চিন সীমান্তেও বর্তমানে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করে। তাই হামাসের মতো ভারতের উপর যাতে কেউ হামলা চালাতে না পারে, সে বিষয়ে তৎপর নয়াদিল্লি।
ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরই নরেন্দ্র মোদী সরকার দেশের অস্ত্রাগারের উপর বিশেষ নজর দেয় এবং পুনর্মূল্যায়ন করে। এবার ইজরায়েলের উপর হামাসের হঠাৎ হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সীমান্তে নজরদারি সিস্টেম উন্নত করতে বিশেষ পদক্ষেপ করল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমান্ত এলাকায় নজরদারিতে ড্রোন ব্যবহারের জন্য গত সপ্তাহেই দেশীয় ৬ ড্রোন বিক্রেতার সঙ্গে দেখা করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিকেরা।