দিনের পর দিন ফাইল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অফিস থেকে জানানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন বর্ধমানের বোরহাট এলাকার এক বাসিন্দা। সুকুমার রায় নামে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, গত মে মাসে তাঁর স্ত্রীর নামে একটি ফাঁকা জমির কনভারশন সংক্রান্ত তিনি আবেদন জানান বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদে।
এরপর নিয়মানুযায়ী জমির বিষয়ে তদন্ত করেন বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদ। তার কিছুদিন পর বিডিও অফিস থেকে তিনি একটি জমির গড়মিল রয়েছে বলে বার্তা পান। এরপর তিনি ফের বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদে আসেন এই সংক্রান্ত বিষয়ে চিঠিটি পাবার জন্য। সুকুমারবাবুর দাবী, যে জমিতে কোনো নির্মাণ রয়েছে সেই জমির ক্ষেত্রেই ডিসক্রিপেন্সি লেটার বা গড়মিল বা অমিল রয়েছে এই সংক্রান্ত বিষয় আসতে পারে।
কিন্তু তাঁর স্ত্রীর নামে থাকা ওই জমিটি ফাঁকা, সেখানে কোনো নির্মাণই নেই। স্বাভাবিকভাবেই কিভাবে ওই চিঠি ইস্যু হল তা অত্যন্ত বিস্ময়ের। এরইপাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেছেন, এরপর থেকে তিনি প্রতি সপ্তাহেই বিডিএ-তে আসছেন। কিন্তু তাঁর ফাইল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানানো হচ্ছে।
বুধবার তিনি এব্যাপারে বিডিএ-এর সিও-র কাছে একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন। অন্যদিকে, এব্যাপারে বিডিএ-র চেয়ারম্যান কাকলী তা গুপ্ত জানিয়েছেন, এদিনই বিষয়টি তিনি জেনেছেন। গত আগষ্ট মাসেই ওই ব্যক্তির ফাইল তৈরী হয়ে গেছে। কেন তাঁর ফাইল পাওয়া যাচ্ছে না সে বিষয়ে তিনি খোঁজ খবর নিচ্ছেন।
একইসঙ্গে তাঁর দাবী, এব্যাপারে তাঁর কাছে আসলে তিনি আগেই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে পারতেন। অপরদিকে, এই ঘটনায় বিজেপি সুর চড়িয়েছে। বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক সুধীররঞ্জন কুমার সাউ জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষ সরকারী দপ্তর থেকে কোনো পরিষেবা পাচ্ছেন না। সরকারী বেতনভুক কর্মচারীরা যে কোনো কাজ করছেন না, এটা তারই প্রমাণ।