PB News Desk: ৬ জি নেটওয়ার্ক স্থাপনের বিষয়ে সরকার একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও জানিয়েছেন, ৫জি নেটওয়ার্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে বিশ্বের মধ্যে ভারত সবথেকে দ্রুত এগোচ্ছে। দেশের ৭০০টি জেলায় পৌঁছে গিয়েছে ৫জি পরিকাঠামো।
বলাই বাহুল্য ৬জি আরও উচ্চতর ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডের নেটওয়ার্ক। এই নেটওয়ার্ক এখনও তৈরি না হলেও, বিশেষজ্ঞদের মতে, ৬ জি প্রযুক্তি ব্যবহার করে মুহূর্তের মধ্যে তথ্য আদানপ্রদান করা যাবে। ২ জি নেটওয়ার্কে আমরা শুধু টেক্সট মেসেজ পাঠাতে পারতাম। ৪ জি আসার পর ইন্টারনেটের গতি বাড়ায় একটি সম্পূর্ণ মোবাইল অ্যাপ সিস্টেম চালু করা গিয়েছে। ৬ জি অগণিত মেশিন এবং গ্যাজেটকে স্থলে এবং আকাশে একসঙ্গে সংযুক্ত করবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে , ৬ জি প্রযুক্তি এলে, ভৌত জগত এবং ডিজিটাল জগতের মধ্যের পার্থক্য প্রায় ঘুঁচে যাবে। ৬জি হল সিক্সথ জেনারেশন বা ষষ্ঠ প্রজন্মের সেলুলার প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তির মারফৎ সেকেন্ডের ভগ্নাংশে যোগাযোগ স্থাপন করা যাবে বলে আশা। ২০৩০ সালের মধ্যেই এই প্রযুক্তি বাস্তবে দেখা যেতে পারে। গবেষকরা জানিয়েছেন, সাধারণত পরবর্তী প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক গুলি অলিম্পিককে কেন্দ্র করে চালু করা হয়। ২০৩২ সালের অলিম্পিক হবে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে। সেই সময় ৬জি চালু হতে পারে।
কারা ৬জি প্রযুক্তি আগে আনতে পারে, তার জন্য দৌড় কিন্তু শুরু হয়ে গিয়েছে। আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, চিন, জাপানের মতো দেশগুলিতে গবেষণা চলছে। ভারতে দুটি পর্যায়ে ৬জি চালু করা হবে। প্রথম পর্যায় ২০২৩ থেকে ২০২৫-এর মধ্যে। প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন , ৬জি প্রযুক্তির মাধ্যমে দূর থেকেই কারখানাগুলি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে , গাড়ি চালানো যাবে , একে অপরের সঙ্গে কথা বলা যাবে, মানুষের অনুভূতি বুঝতে পারবে যন্ত্র।