September 29, 2024 3:55 am

১৪ দিন কঠিন সময় , চাঁদের বুকে কাজ শুরু প্রজ্ঞান রোভারের

PB News Desk: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে ইসরোর পাঠানো চন্দ্রযান-৩। বিশ্বের প্রথম দেশ ভারত , যারা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করল। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে চাঁদের দক্ষিণ মেরু , এই ৪০০,০০০ কিলোমিটারের যাত্রাপথে সবথেকে উদ্বেগের সময় ছিল শেষের ২০ মিনিট। এমনটাই জানালেন ইসরোর প্রধান এস সোমনাথ। প্রসঙ্গত, উৎক্ষেপণের ১৬ মিনিট বাদে রকেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় চন্দ্রযান-৩ এর মডিউল। এরপর তা পৃথিবীর কক্ষপথে ছয়বার পাক খেয়ে ৩৬ হাজার ৫০০ কিলোমিটারের দূরত্ব অতিক্রম করে। ১৫ জুলাই প্রথম কক্ষপথ পরিবর্তন করে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে চন্দ্রযান-৩।

অভিযানে সবথেকে কঠিন পর্যায় বা অংশ কোনটা ছিল? জবাবে তিনি বলেন, “এই মিশনের সবথেকে কঠিন অংশ ছিল এর উৎক্ষেপন….এটা ভুলে গেলে চলবে না জিএসএলভি মার্ক ৩ চন্দ্রযান-৩ কে সঠিক কক্ষপথে পৌঁছে দিয়েছিল। ওই রকেট ৩৬ হাজার ৫০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ট্রান্স-লুনার কক্ষপথে পৌঁছয়। এরপরে কঠিন ধাপ ল্যান্ডিং। যদি একবার এই সুযোগ হাতছাড়া হত, তবে আর অবতরণ করা যেত না। এই মিশনের অস্তিত্ব থাকত না।”

ইসরো প্রধান বলেন, “এই সময়ে চন্দ্রযানের ‘পাওয়ার ডিসেন্ট’ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় , যেখানে ল্যান্ডার নিজে থেকে চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণের সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে ইসরো বা অন্য কারোর হাতে এর নিয়ন্ত্রণ থাকে না। সবথেকে কঠিন পর্ব ছিল কক্ষপথ থেকে ল্যান্ডারের বিচ্ছিন্ন হওয়ার মুহূর্ত। এটাও একদম সঠিক সময়ে হয়েছে। এখানেও মনে রাখা দরকার , দীর্ঘ সময় মহাকাশে কাটানোর পর এই কাজ করা হয়েছে। এতটা সময় সমস্ত যন্ত্রাংশ যাতে কোনও সমস্যা ছাড়াই কাজ করে, তা নিশ্চিত করার দায়িত্বও ছিল। যা আমরা করতে পেরেছি।”