রাজনীতি

‘মোদী গ্যারান্টি’র পাল্টা মমতার জনমুখী প্রকল্প ? কীভাবে ‘মোদী গ্যারান্টি’ প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ ? ইস্তেহারে বোঝাবে তৃণমূল

নির্বাচনী ইস্তেহারে ১২ বছরের জনমুখী প্রকল্পের জোয়ার – বিজেপির ‘মোদী গ্যারান্টি’র পাল্টা দিল তৃণমূল।  কীভাবে মোদি সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ , তা লোকসভা ভোটের ইস্তাহারে উল্লেখ করা হবে। আর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ঠিক কীভাবে গত ১২ বছর ধরে রাজ্যবাসীর জন্য নানা জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করেছেন, তারও উল্লেখ থাকবে ইস্তাহারে।

বলে রাখা ভালো, রাজ্যের আর্থিক উপদেষ্টা অমিত মিত্রের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিতে রয়েছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুখেন্দুশেখর রায়, শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ইস্তাহার নিয়ে দলীয় নেতৃত্ব মোট চারটি বৈঠক করেছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রাই। নারী ক্ষমতায়নে নানা পদক্ষেপ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘কন্যাশ্রী’, ‘রূপশ্রী’, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র মতো প্রকল্প রয়েছে বাংলায়। ২০২১ সালে নির্বাচনের আগে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প চালুর প্রতিশ্রুতি দেন মমতা।

প্রতিশ্রুতি বাস্তব রূপ পায় সে বছরই নভেম্বরে। এই প্রকল্পে তফসিলি জাতি-উপজাতির উপভোক্তারা এতদিন মাসিক ১০০০ টাকা ও অন্যান্যদের ৫০০ টাকা করে দেওয়া হত। তবে এপ্রিল থেকে সেই ভাতা বেড়ে গিয়েছে। বর্তমানে জেনারেল বা সাধারণ শ্রেণিভুক্ত মহিলারা ১ হাজার টাকা এবং তফসিলি জাতি, উপজাতির উপভোক্তারা ১২০০ টাকা করে পাচ্ছেন। প্রতি মাসে সরাসরি অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে প্রকল্পের টাকা।  ২০১৯ সালে চালু হওয়া কৃষকবন্ধু প্রকল্পের কথাও উল্লেখ থাকার কথা। কারণ, কৃষকদের জন্য মোদি যে আদতে কিছুই করেননি, তা নাকি তথ্য উল্লেখ করে ইস্তাহারে লেখা থাকবে বলেই সূত্রের খবর।

ইস্তাহারে অবশ্যই থাকবে সবুজসাথী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মতো প্রকল্পের কথাও। এছাড়া ১০০ দিনের কাজ এবং কেন্দ্রীয় আবাস যোজনায় কেন্দ্রীয় ‘বঞ্চনা’র কথাও উল্লেখ করা হবে ইস্তাহারে। মোদি গ্যারান্টি নাকি দিদি গ্যারান্টি, লোকসভা নির্বাচনী বাংলায় বারবার তৃণমূল নেতৃত্বের মুখে এই প্রশ্ন শোনা গিয়েছে। তবে শুধুই নির্বাচনী জনসভায় নয়, তৃণমূলের ইস্তাহারের ছত্রে ছত্রেও তার প্রতিফলন ঘটবে।