“ভোটের আগে বিজেপির ললিপপ CAA। ” নাগরিকত্ব বাতিল হলে, চুপ থাকব না। প্রতিবাদ করব, হুঙ্কার দিলেন তিনি। বৈষম্য থাকলে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন তথা সিএএ মানব না। সাফ জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, CAA অনুযায়ী, ২০১৫ সালের আগে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নিপীড়ণের শিকার হয়ে যে হিন্দুরা এদেশে এসেছেন তাদের সকলকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সমালোচকদের দাবি, এই আইন বৈষম্যমূলক।
মমতা বলেন, “চিন্তা করবেন না। কোনও ভয় নেই। কারোর নাগরিকত্ব কাড়তে দেব না।” তাঁর আরও সংযোজন, “পুরো রিপোর্ট দেখার পর, কাগজ হাতে পাওয়ার পর বিস্তারিত কাল হাবরার মিটিং থেকে বলব। যদি কোনও রকম বৈষম্য থাকে আমরা মানি না।” কটাক্ষ, “এটা ছেলের হাতের মোয়া। চাইলেই কালকে নাগরিকত্ব দিতে পারবে না। যদি এখন CAA করে বলে নাগরিকত্ব দিলাম, তবে কি এতদিন তারা নাগরিক ছিল না? নাগরিকত্ব বাতিল হলে, চুপ থাকব না। প্রতিবাদ করব। কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে গেলে চুপ করে থাকব না।”
সূত্র মতে, এই আইন বলবৎ করার ক্ষেত্রে রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা যথাসম্ভব ন্যুনতম করা হবে। রাজ্যের অসহযোগিতা থাকলে, মাঠে-ময়দানে সিএএ বলবৎ করা সম্ভব হবে না। ফলে রাজ্য প্রশাসনের পরিকাঠামোকে এড়িয়ে, যথা সম্ভব কেন্দ্রীয় সরকারি পরিকাঠামোকে কাজে লাগিয়ে এই আইন কার্যকর করার চেষ্টা চলছে। সূত্র আরও জানিয়েছে, এদিন রাত দশটার মধ্যেই সিএএ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হতে পারে। এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রাজ্যের বিজেপি নেতারা বারবার বলেছেন, লোকসভা নির্বাচনের আগেই সিএএ কার্যকর করা হবে। সিএএ বিজ্ঞপ্তি জারির পরই সিএএ কার্যকর করা হতে পারে। পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে আগত অমুসলিম জনগোষ্ঠীকে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা আছে এই আইনে।