বার্ষিক পাইকারি মূল্য সূচকের পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতেই ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে দাম বাড়ানোর অনুমতি দিচ্ছে সরকার। ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে, দীর্ঘদিন ধরেই ওষুধের দাম বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছিল ওষুধ প্রস্তুতকারীরা।
১ এপ্রিল থেকে বাড়তে চলেছে প্রয়োজনীয় বেশ কয়েকটি ওষুধের দাম। পেইনকিলার থেকে শুরু করে অ্যান্টিবায়োটিক সবেরই দাম বাড়তে চলেছে। ইতিমধ্যেই মূল্যবৃদ্ধির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের পকেটের বোঝা যে আরও বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য।
অপরিহার্য ওষুধের তালিকায় প্যারাসিটামলের মতো জ্বরের ওষুধ, অ্যাজিথ্রোমাইসিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি-অ্যানিমিয়া ওষুধ, ভিটামিন এবং মিনারেল রয়েছে। মাঝারি থেকে গুরুতর অসুস্থ কোভিড রোগীদের চিকিত্সায় ব্যবহৃত কিছু ওষুধ এবং স্টেরয়েডগুলিও এই তালিকায় রয়েছে। আগে ১০০০টিরও বেশি ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারকদের একটি গোষ্ঠী, অবিলম্বে সমস্ত নির্ধারিত মূল্যের ওষুধের দাম ১০ শতাংশ বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছিল সরকারকে। অ-নির্ধারিত মূল্যের ওষুধগুলির দামও ২০ শতাংশ বৃদ্ধির দাবি করা হয়েছিল।
ন্যাশনাল লিস্ট অব এসেন্শিয়াল মেডিসিনের অধীনে গত বছর এবং ২০২২ সালে ওষুধের দামের রেকর্ড বৃদ্ধি হয়েছিল। গত বছর দাম বেড়েছিল ১২ শতাংশ, ২০২২-এ ১০ শতাংশ। জাতীয় অপরিহার্য ওষুধের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ৮০০টির বেশি ওষুধের দাম বাড়বে। প্রতি বছরে একবার করেই ওষুধের দাম বাড়ানো হয়।
শিল্প বিশেষজ্ঞদের মতে, বিগত কয়েক বছরে, কিছু প্রধান ওষুধের উপাদানের দাম ১৫ শতাংশ থেকে ১৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। প্যারাসিটামলের দাম ১৩০ শতাংশ বেড়েছে। এক্সিপিয়েন্টের দাম বেড়েছে ১৮ থেকে ২৬২ শতাংশ পর্যন্ত। গ্লিসারিন এবং প্রোপিলিন গ্লাইকোলের দাম যথাক্রমে ২৬৩ শতাংশ এবং ৮৩ শতাংশ বেড়েছে।
অধিকাংশ মানুষের প্রয়োজন যে ওষুধগুলি, সেগুলিকেই অপরিহার্য ওষুধের তালিকায় রাখা হয়। এই ওষুধগুলির দাম সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকে। এসব ওষুধের দাম, সংস্থাগুলি বছরে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে পারে। এই তালিকায় ক্যান্সার-রোধী ওষুধও রয়েছে। ইন্টারমিডিয়েচ পণ্যগুলির দামও ১১ শতাংশ থেকে ১৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। পেনিসিলিন দামী হয়েছে ১৭৫ শতাংশ।