রাজনীতি

নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে ‘পয়া’ মেদিনীপুর ছাড়তে হবে ! তৃণমূল নয় , দলেই পরাজিত ‘কোনঠাসা’ দিলীপ ?

শেষমুহূর্তে পরিকল্পনায় ‘নাটকীয়’ কিছু না-ঘটলে মেদিনীপুর লোকসভা আসনে দ্বিতীয় বার লড়ার সুযোগই পাচ্ছেন না দিলীপ ঘোষ। তৃণমূলের কাছে নয়, দলের অন্দরের লড়াইতেই ভোটের আগে হেরে যেতে হচ্ছে তাঁকে। ২০১৯ সালে প্রথমবার লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েই তৎকালীন রাজ্য বিজেপির সভাপতি লড়েছিলেন মেদিনীপুরে। তৃণমূলের মানস ভুঁইয়াকে তিনি হারিয়েছিলেন প্রায় ৮৯ হাজার ভোটে।

‘নিমরাজি’ দিলীপকে অন্য আসন থেকে লড়ানোর সিদ্ধান্তও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চূড়ান্ত করে নিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। সেটা বাস্তবায়িত হলে দিলীপকে প্রার্থী করার কথা বর্ধমান-দুর্গাপুর আসন থেকে। সেক্ষেত্রে সুতোয় ঝুলছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়ার ভাগ্য। বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে বিজেপি জয় পেলেও অহলুওয়ালিয়া তৃণমূলের মমতাজ সঙ্ঘমিত্রাকে হারিয়েছিলেন মাত্র ২,৪৩৯ ভোটে।

বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর আসনের প্রার্থী হিসাবে প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষের নাম আপাতত আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষায়। ‘দিলীপ-ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত রাজ্য বিজেপির এক নেতা বলেন, ‘‘দিলীপ দা মনে করেন ব্যক্তির থেকে সংগঠন বড়। তার থেকেও বড় রাষ্ট্র। এমন নীতিতে বিশ্বাস করা দিলীপদা নিশ্চয়ই দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন। এখনও দুই আসনেরই প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়নি। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দিলীপদাকে যে আসনেই পাঠাক, তিনি লড়বেন এবং জিতবেন।’’

গত লোকসভা নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বেই মেদিনীপুর সহ ১৮ আসনে জিতেছিল বিজেপি। তার আগে বাংলায় দলের সাংসদ সংখ্যা ছিল মাত্র দুই! দিলীপকে কেন মেদিনীপুর আসন দেওয়া যাবে না , তা নিয়ে দলের অন্দরে অনেক যুক্তি ছিল। প্রথম যুক্তি হিসাবে বলা হয় , কেন্দ্রীয় বিজেপির পক্ষে বাংলায় যে সমীক্ষা করা হয়েছে , তাতে মেদিনীপুরে দিলীপের জয়ের সম্ভাবনা কম। তবে সেই সমীক্ষা ঠিক নয় বলেই দাবি ছিল দিলীপ গোষ্ঠীর।