শীত বা বসন্তে নয়, একেবারে প্রখর রোদে, গরমে পুড়ে ভোট চলবে দেশে। মৌসম ভবনের তরফে ইতিমধ্যেই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, আগামী এপ্রিল ও মে মাসে গোটা দেশে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। ২০০৪ সালের তুলনায় এবারে দ্বিগুণ দীর্ঘ ভোটের মরসুম।
১৯৯৮ সালে লোকসভা ভোট হয়েছিল ১৩ দিনে, ১৯৯৯ সালে ২৯ দিনে। ২০০৪ সালে ২১ দিনে ৪ দফায়। ২০০৯ সালে ৫ দফায় ২৮ দিনে। এরপর থেকে ভোটের দিন ক্রমাগত বেড়েইছে। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচন হয়েছিল ৯ দফায় ৩৬ দিন ধরে। ২০১৯ সালে সাত দফায় ৩৯ দিন ধরে।
২০০৪ সালে ২১ দিন ধরে চারটি দফায় ভোট হয়েছিল দেশে। অটলবিহারী বাজপেয়ীর সরকার লোকসভা নির্বাচনের দিন এগিয়ে এনেছিল ৬ মাস। এপ্রিল ও মে মাসে তীব্র গরমের দাবদাহে মানুষ প্রথম সেবারই ভোট দিয়েছিল।
১৯৯৮ সালেও একই পরিস্থিতি হয়েছিল। আইকে গুজরালের সরকার ক্ষমতা হারানোয়, দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচন করাতে হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের এক সিনিয়র অফিসারের দাবি, রাম নাথ কোভিন্দের কমিটির ‘ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন’ প্রস্তাব যদি সরকার মেনে নেয়, তাহলে ২০২৯ সাল থেকে প্রতিটি রাজ্যে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন হবে গরমেই।